পটুয়াখালীর গলাচিপায় আট মাসের জন্য বন্ধ হলো জাটকা শিকার। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে আজ থেকে ৮ মাসের জন্য শুরু হয়েছে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান। সারা দেশের মতো গলাচিপার রামনাবাদ, বুড়া গৌরঙ্গ, আগুনমুখা, তেতুলিয়া নদীতেও আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।
এ সময় জাটকা ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, বিনিময় ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সরকারের এ নিষেধাজ্ঞা মেনে জেলেদের জাটকা ধরা থেকে বিরত রাখতে চলছে সচেতনতামূলক কার্যক্রম। পাশাপাশি আইন অমান্যকরীদের বিরুদ্ধে পরিচালনা করা হবে সমন্বিত অভিযান। ‘আজকের জাটকাই আগামী দিনের রুপালি ইলিশ’। তাই দেশের সবচেয়ে সুস্বাদু মাছ ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে জাটকা রক্ষা অভিযান।
চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। এ সময় ১০ ইঞ্চির ছোট সকল জাটকা ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, বিনিময়, ও মজুত আইনত দ-নীয় অপরাধ। জাটকা রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে চালানো হবে সমন্বিত অভিযান। জেলেরা জানান,
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর আবারও ৮ মাসের জাটকা সংরক্ষণ অভিযান তাদের ধারদেনার পরিমাণ বাড়বে। তারা আরও জানান, সরকার যদি ইলিশের জাটকা সংরক্ষণ করে, তাহলে আমরা জেলেরা লাভবান হব। আইন মেনে চলার জন্য সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী।
জাটকা সংরক্ষণের আওতায় উপজেলায় নিবন্ধিত ১২ হাজারেরও অধিক জেলেকে পর্যায়ক্রমে খাদ্য সহায়তার আওতায় আনা হবে। এদিকে জাটকা রক্ষার মাধ্যমে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নদীকে অবৈধ জাল মুক্ত করার দাবি জেলে সমিতির নেতাদের।